✳️স্বামী মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে মাত্রই বাসায় ফিরেছে।
স্ত্রীও নামাজ শেষে জায়নামাজ ভাজ করছে।
স্বামী স্ত্রীর হাত ধরে তার পাশে বসালেন।
-এই আমার আঙ্গুলে কি গুনছো..??(স্ত্রীর প্রশ্ন)
-তাসবীহে ফাতেমী।
-কেন সেটা তো তোমার হাতের আঙ্গুলেও গুনতে পারো, আমার হাতে কেন..??
-যেন তুমিও নেকি পাও। আর তোমার এই আঙ্গুল কাল হাশরে মাঠে আমার হয়ে সাক্ষী দেয়।
-মাশাআল্লাহ🕋
❇️স্বামী মানিব্যাগ থেকে কিছু টাকা বের করে স্ত্রীকে দিলেন।
-এই নাও এটাকা রাখো সদকা করবে।
-তুমি আমার পেছনে যেটা খরচ কর সেটাই তো সদকা। আর তাছাড়া তুমি বাহিরে থাকো অনেক মানুষ সাহায্যের জন্যে আসে, তুমিই তো তাদের দিয়ে দিতে পারো।
-হুম পারি, দেইও। কিন্তু সেখানে শুধু আমি নেকির অংশীদার হই। আমি চাই তুমিও যেন সমান নেকির অংশীদার হও। কারণ জান্নাতে তোমার আমার এক সাথে থাকতে হবে।
স্ত্রী খুশি হয়ে স্বামীকে জরিয়ে ধরলো।
✴️স্ত্রী কুরআন তেলাওয়াত করছে। স্বামী পাশে বসে খুব মনোযোগ দিয়ে, তার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে শুনছেন।
-কি ব্যাপার ওভাবে তাকিয়ে আছো যে। নতুন দেখ নাকি আমাকে..??
-তোমার তেলাওয়াত শুনছি। তুমি তেলাওয়াত করছো আর নেকি পাচ্ছ, আর আমি মন দিয়ে শুনে নেকি কামাচ্ছি। আর আমাকে কুরআন তেলাওয়াত করে শুনানোর জন্যে আল্লাহ তোমার প্রতি খুশি হয়েছেন নিশ্চয়ই। আর সেটা ভেবে আমি খুশি হচ্ছি।
স্ত্রীর চোখে ততক্ষণে আনন্দের অশ্রু জমে গেছে।
💠শুনো তুমি প্রতিওয়াক্তে আমাকে নামাজের দাওয়াত দিয়ে মসজিদে পাঠাবে। এতে দুইজনই নেকি পাব।
-হুম ঠিক বলেছো। হাদিস পাকে এসেছে কেউ হেদায়েতের দিকে আহ্বান করলে যতক্ষণ তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে। তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবের কোন কমতি হবেনা। (মুসলিম)
-আর এভাবেই নেকির সব কাজে আমরা একে অন্যের শামিল রাখবো। হয়তো আল্লাহর কাছে আমাদের এই আমলটাই পছন্দনীয় হয়ে যেতে পারে নাজাতের জন্য।
-আলহামদুলিল্লাহ। সত্যিই দারুণ হয় ব্যাপারটা। উৎফুল্ল স্ত্রীর উত্তর।
কামিয়াব দম্পতি তো তারাই, যাদের চুড়ান্ত লক্ষ্য দুনিয়া থেকে আখেরাত পর্যন্ত একে অপরের হাত ধরে এক সাথে থাকা। এদের ভালোবাসা দেখে আল্লাহপাকও অত্যন্ত খুশি হন।।।
।।।
।। গল্পটা কেমন লাগলো অব্যশয় কমেন্ট এ জানাবেন ☺️
Post a Comment